তরুণীকে বাড়িতে আটকে রেখে ২ দিন ধরে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখিতে। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নারায়ণ মিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল।
আরও পড়ুন - মানুষের হাসপাতালে তৃণমূল নেতার কুকুরের চিকিৎসা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
পড়তে থাকুন - 'এখনই প্রতিরোধ না হলে আরও অনেক তিলোত্তমাকে এভাবে চলে যেতে হতে পারে'
নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সূত্রের নিয়মিত যাতায়াতও ছিল পরস্পরের বাড়িতে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান তরুণী। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। শুক্রবার বাড়ি ফিরে তিনি জানান, তাঁকে সোনামুখি পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা AITTUCর ব্লক সভাপতি নারায়ণ মিত্র তাঁর বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। এর পরই নারায়ণ মিত্র ফোন করে তরুণীর বাবাকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। ৫ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি তরুণীর পরিবার। শুক্রবার বিকেলে সোনামুখি থানায় নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টুর বিরুদ্ধে FIR করেন তরুণী। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওদিকে গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘INTTUCর ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আমরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে অনুরোধ করেছি BDOকে’
আরও পড়ুন - খুনি ডাক্তারের শাস্তি চাই, সন্ধের পর পথে নেমে স্লোগান তুললেন কল্যাণ
সোনামুখির বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, ‘যেখানে ধর্ষণ সেখানেই তৃণমূল। মেয়েটির পরিবারের পাশে আমরা আছি। তৃণমূলের আবার সাসপেন্ড। আজ সাসপেন্ড করেছে কাল আবার পতাকা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে। এদের লাজ লজ্জা আছে না কি?’