৬ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মারা গেলেন উস্তির উত্তরকুসুমের যুব তৃণমূল সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে তিনি এস এস কে এম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও। দলের নেতারা হাসপাতাল থেকে শনিবার প্রথমে সুজাউদ্দিনের দেহ নিয়ে যান দলীয় কার্যালয়ে। পরে সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যান বাড়িতে। এদিনই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
গত ১৯ ডিসেম্বর উস্তির কারবালা থেকে হালদার হাটের দিকে বাইকে করে যাওয়ার সময় সুজাউদ্দিনের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারা প্রকাশ্যে সুজাউদ্দিনকে লক্ষ করে গুলি চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। চিকিৎসকরা জানান, একটি গুলি সুজাউদ্দিনিয়ে শরীরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ভেদ করে বেরিয়ে গিয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশকে বেশ কয়েক জনের নাম বলতে সক্ষম হয়েছিলেন সুজাউদ্দিন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ তার কাছ থেকে এই ঘটনায় ৭ জনের নাম জানতে পারে। সুজাউদ্দিনের বয়ানের ভিত্তিতে ওই সাত জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করতে পেরেছে উস্তি থানার পুলিশ। তবে সুজাউদ্দিনকে কী কারণে খুন করা হয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ জড়িত রয়েছে তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যোগ করেছে পুলিশ।