উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিশ। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম প্রবীর দে। চাকরির টোপ দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সোদপুরের ৮ নম্বর রেলগেটের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পানিহাটির জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দা প্রবীর দে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাই নন, তিনি এলাকার পাড়া কমিটির সদস্য। অভিযোগ, এক মহিলা তার কাছে কাজের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই সুযোগে তিনি ওই মহিলাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। ওই মহিলা যখন তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান তখন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ, এর পরে ওই তৃণমূল নেতা তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করলে তৃণমূল নেতা তাকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই মহিলা খড়দহ থানায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই এলাকা থেকে পালিয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে সোদপুরে ৮ নম্বর রেলগেট থেকে অবশেষে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির স্থানীয় নেতা জয় সাহা বলেন, ‘এ রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’