TMC leader death: অতিরিক্ত মদ্যপানের পর তৃণমূল নেতার মৃত্যু, পরিবারের দাবি পাওনা বিবাদের জেরে খুন

পরিবারের দাবি, অজিত মিস্ত্রি ও পাপ্পু নামে ২ প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। কিন্তু তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসে তারা। পরিবারের দাবি, পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে অজিতবাবুকে মদ খাইয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন ওই ২ ব্যক্তি।

আকণ্ঠ মদ্যপানের পর মৃত্যু হল এক তৃণমূল নেতার। পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল নামে তৃণমূলের ওই বুথ সম্পাদককে। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার। খবর পেয়ে বুধবার রাতে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় বিধায়ক সওকত মোল্লা। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দিহান তিনিও।

পড়তে থাকুন - চিঠির হাতের লেখা কি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই, ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চায় ইডি

জীবনতলা থানা এলাকার তৃণমূলের ৭ নম্বর অঞ্চলের বুথ সম্পাদক ছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। পরিবারের দাবি, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ভাত খেয়ে সুস্থ শরীরে ২ প্রতিবেশীর সঙ্গে বেরোন তিনি। সন্ধ্যায় পরিবারের লোকেরা জানতে পারে, রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এলে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর।

পরিবারের দাবি, অজিত মিস্ত্রি ও পাপ্পু নামে ২ প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। কিন্তু তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসে তারা। পরিবারের দাবি, পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে অজিতবাবুকে মদ খাইয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন ওই ২ ব্যক্তি। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে বুধবার রাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক সওকত মোল্লা। তিনি বলেন, আমাদের বুথ সম্পাদককে খুন করা হয়েছে। দেহ পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আমরা পরিবারটির পাশে আছি।

নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী গলা পর্যন্ত মদ খেয়েও বাড়ি ফিরেছে। ওর কোনও সমস্যা হয়নি। এদিন দেখি ওর পেট ফুলে গিয়েছে। নখগুলো কালো হয়ে গিয়েছে। এমন কী হল যে ও মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল? আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। অজিত আর পাপ্পু খুন করেছে। আমি বিচার চাই।’