হিসেব গরমিলের অভিযোগে বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকদিন আগেই দেখা করে এসেছিলেন রাজ্যর মন্ত্রী। এই আবহে এই টাকা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়রক। কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার দাবি, ১০০ দিনের টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনছে বিজেপি। প্রতি বিধায়ক দর হাঁকা হচ্ছে ৫০ কোটি। যদিও এই অভিযোগ করে বিজেপির পালটা তোপ, প্রকল্পের সঠিক রিপোর্ট দিতে পারছে না বলেই, রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।
তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, ‘১০০ দিনের টাকা বন্ধ। জিএসটি বাবদ এত টাকা তোলা হচ্ছে। কেন্দ্রের টাকার ভাগ পায় না রাজ্য। সেই টাকা ওরা নিয়ে এমএলএ কিনছে। একটা করে এমএলএ ৫০ কোটি টাকা। বিজেপির বাপের টাকা?’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘এমনি এমনি টাকা আটকে রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে দেখে গেছে, কাজ হয়নি। ভুয়ো রিপোর্ট দেয় রাজ্য, তাহলে টাকা দেবে কেন?’
১০০ দিনের কাজ নিয়ে সম্প্রতি রাজ্য যে রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছিল, তাতে ১৫টি জেলার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। এই আবহে বকেয়া অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহর সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রের তরফে ১০০ দিনের কাজের পাওনা টাকা দেওয়া হয়নি রাজ্যকে। ১০ মাসে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে এই প্রকল্পে। যদিও কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল ঠিকমতো কাজ না হলে রাজ্যকে টাকা দেওয়া হবে না। এই আবহে ১৫টি জেলাকে (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, কোচবিহার, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম এবং দুই দিনাজপুর) নতুন করে অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আগামিকাল, ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে।