শিলিগুড়িতে জলসংকটের মধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বিধায়ক শংকর ঘোষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহর জুড়ে যখন পানীয় জলের হাহাকার তখন শংকরবাবু হিন্দুস্তান টাইমসে দাবি করলেন, পরীক্ষা না করে ২০ দিন ধরে শিলিগুড়িবাসীকে দূষিত জল পান করিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। এমনকী জলসংকটের মধ্যে মেয়র গৌতম দেবের বিরুদ্ধে নিজের ওয়ার্ডের প্রতি পক্ষপাত করা উচিত। শংকরবাবুর দাবি, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত শিলিগুড়ির মেয়রের।
আরও পড়ুন - বিরাট ভূমিকম্প আসবে, ৪ জুনের পর সব পরিবারবাদী পার্টি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে: নরেন্দ্র মোদী
পড়তে থাকুন - মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপ করাচ্ছেন TMC নেতারা
বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘গত ২০ দিন ধরে তিস্তা নদী থেকে শিলিগুড়িতে জলসরবরাহকারী পাইপের সংস্কার চলছে। আর ২০ দিন ধরে মহানন্দার জল পরিশোধন করে সরবরাহ করা হচ্ছে শহরে। প্রতিদিন জল শহরে সরবরাহ করার আগে তা পানযোগ্য কি না তা পরীক্ষা করার কথা। তাহলে ২০ দিন ধরে কি পুরসভা ঘুমাচ্ছিল। এতদিন কি জল পরীক্ষা হয়নি? তার মানে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে জলের নামে শিলিগুড়িবাসীকে বিষ খাইছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা।’
তিনি আরও বলেন, পানীয় জলের সমস্যার সমাধানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক বেলা ১টি করে ট্যাঙ্কার পাঠানো হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মানুষ যখন জলের জন্য হাহাকার করছে, শহরে জলের কালোবাজারি শুরু হয়েছে, বেশি দামে জল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তখন মেয়র গৌতম দেব তাঁর নিজের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২ বেলা জলের গাড়ি পাঠাচ্ছেন। বিপর্যয়ের সময় এরকম পক্ষপাতিত্ব তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব। এই রকম পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির কোনও শহরের মেয়র হওয়ার যোগ্যতা নেই। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
আরও পড়ুন - পিসি- ভাইপো যার বাড়িতেই লুকিয়ে থাকুক, সওকতকে চুলের মুঠি ধরে জেলে ভরা উচিত CBIএর: শুভেন্দু অধিকারী
তৃণমূল পুরবোর্ডকে অপদার্থ বলে দাবি করে তিনি বলেন, কখনও পুরসভা গাছ কাটতে গিয়ে ধরা পড়ছে। কখনও রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর হামলা হচ্ছে এই তৃণমূলের জমানায়। সামলাতে যখন পারবে না এরা দায়িত্ব নেয় কেন?