আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক তৃণমূলকর্মীর। বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের আটঘরায় এই ঘটনায় পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মফিজুল শেখ। মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করতেই পরিকল্পনামাফিক ঘটনানো হয়েছে দুর্ঘটনা।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কল্যাণপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মফিজুল বুধবার কাটোয়া আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে গিয়েছিলেন তৃণমূলকর্মী লালু শেখ। আদালতের কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় নতুনহাট - গুসকরা সড়কের আটঘরার কাছে মোটরসাইকেলটিকে একটি বোলেরো গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ব্যপক সংঘর্ষে রাস্তায় ছিটকে পড়েন ২ জনেই। এর পর লালু শেখ বোলেরো গাড়ি নীচে চলে যান। তৃণমূলকর্মীকে টেনে হিঁচড়ে বেশ কিছুদূর নিয়ে যায় গাড়িটি। তার পর রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে তাঁর দেহ। ওই অহস্থাতেই দুরন্ত গতিতে পালিয়ে যায় বোলেরো গাড়িটি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লালু শেখের। গুরুতর আহত মফিজুলকে বর্ধমান মেডিক্যাল নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এর পর তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার হাসপাতালে।
এই ঘটনায় পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃত লালু শেখ ও অহত অঞ্চল সভাপতি মফিজুলের পরিবার। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে মফিজুলকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল অপর গোষ্ঠীর লোকেরা। তাই পরিকল্পনা করে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মঙ্গলকোট থানা সূত্রে খবর, বোলেরো গাড়িটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। মফিজুল সুস্থ হলে তাঁকে জেরা করবেন আধিকারিকরা।