করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ পুরনিগমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুরভোট। এনিয়ে ইতিমধ্যেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, শিলিগুড়ি পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থীরা আদর্শ আচরণবিধি মানছেন না। এমনটাই অভিযোগ তুলল বিজেপি। পুরসভায় গিয়ে কাজ করা এবং পুরসভার গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। অবশ্য তৃণমূল এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ দু'বছর আগে শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রশাসক বোর্ড পুরসভার যাবতীয় কাজ করছে। আগামী নির্বাচনের পরেই নতুন পুরবোর্ড গঠিত হবে। গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রয়েছেন। নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পরেও তারা পুরসভার গাড়ি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয় পুরসভায় গিয়ে ফাইলেও সই করছেন। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে, তারা প্রসাশক বোর্ডের সদস্য হলেও এবার প্রার্থী হননি।
বিজেপির দাবি, ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হয়েছে তাই এই অবস্থায় পুরসভার কাজের জন্য কোনও সরকারি আমলাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা। তৃণমূল সেটা না করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছে বলে তাদের অভিযোগ। এ নিয়ে তারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থী শংকর ঘোষ এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'আমি বলব যে এটা প্রশাসনিক মস্করা হচ্ছে। নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নেতারা পুরসভায় দায়িত্ব সামলাতে পারেন না, সরকারি আমলারাই এই কাজ করে থাকেন। এটাই নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল তা না করে বৈঠক এমনকি ফাইলেও সই করেছে শুনলাম।' উল্টে তৃণমূল প্রার্থীরা তাদের দুর্নীতির কাগজপত্র সরানোর চেষ্টা করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য এবং জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অশোক চক্রবর্তী জানান, 'এখনও এই মর্মে কোনও নির্দেশ আমাদের কাছে আসেনি। যখনই নির্দেশ আসবে আমরা সেই নির্দেশ পালন করব।'