হুগলির আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের একটি কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি দলেরই কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাদের বক্তব্য, শুধু ভোটের সময় এলাকায় এসেছিলেন অপরূপা পোদ্দার। তারপর তিন বছর কেটে গেলেও তিনি এলাকায় আসেননি, উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করেননি। এই সমস্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।
তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আরামবাগের সাংসদ। আরামবাগের হরিপাল থানার চন্দনপুরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ সেখান তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে হরিপাল থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। সূত্রের খবর, বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশি পাহারার মধ্যে থাকতে দেখা যায় সাংসদকে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তিনি গত তিন বছর ধরে এলাকায় আসেননি। তাছাড়া অন্য কোনও কাজও তিনি করেন নি। তাই এলাকার মানুষ আর চান না তিনি সেখানে যান।
হরিপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চন্দনপুর রেল সাবওয়ে তৈরির দাবিতে সেখানে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না এবং অন্যান্য নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও তাঁরা সেখানে যাননি। তবে সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অপরূপা। তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি তার পরেও সেই সভায় তাঁকে দেখা যায়। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, ভোটের পর থেকে সাংসদকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। সেই কারণে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। সেখানে দীর্ঘক্ষণ থাকার পর অবশেষে চন্দনপুর থেকে বেরিয়ে যান সাংসদ। অপরূপা কথায়, ‘আমি দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলাম। বাকি দলকে বলবো।’ অন্যদিকে, সাবওয়ে তৈরির দাবিতে সভা শেষে স্টেশন মাস্টারকে স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।