কোচবিহারের পর জলপাইগুড়ি, অভিষেকের ‘নব জোয়ার’ ঘিরে ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলি বিশৃঙ্খলার ছবি। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার ৩ জায়গায় পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয় তুমুল বিশৃঙ্খলা। ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় তৃণমূল নেতা - কর্মীদের মধ্যে। এমনকী ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটমনায় ফের একবার তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি।
এদিন অভিষেকের প্রথম সভা ছিল ময়নাগুড়িতে। সেখানে অভিষেক সভামঞ্চ ছাড়তেই ব্যালট পেপার দখল করতে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেন তৃণমূলের নেতা - কর্মীরা। কোচবিহারের অভিজ্ঞতা থেকে তৎপর হয় পুলিশ। যার জেরে ব্যালট বাক্স আর ভাঙচুর হয়নি। এর পর পাহাড়পুর ও রাজগঞ্জের সভাতেও একই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপারের পরিবর্তে সাদা কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী দলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় নেতা - কর্মীদের।
কোচবিহারের পর জলপাইগুড়িতেও অভিষেকের কর্মসূচি ঘিরে একই রকম বিশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘ভোট লুঠ করা তৃণমূলের স্বভাব। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট হয়নি। জোর যার মুকুল তার নিয়ম চলেছে। এখন নিজেদের পার্টির মধ্যেও তাই হচ্ছে।’
এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।