বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দলের কোন্দল ঠেকাতে দলের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মুচলেখা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস

দলের কোন্দল ঠেকাতে দলের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মুচলেখা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস

দলের কোন্দল ঠেকাতে দলের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মুচলেখা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)

দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ যাতে আঙুল তুলতে না পারে তার জন্য এই মুচলেখা চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বাইশের পুরভোটে সর্বত্রই তৃণমূলের জয় জয়কার। বিরোধীরা কার্যত ধূলিকণার মতো উড়ে গিয়েছে। তবে পুরভোটের আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছিল। বিক্ষুব্ধরা অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জয় পেয়েছে। এবার দলের অন্দরের কোন্দল ঠেকাতে পদাধিকারী নির্বাচনের জন্য নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মুচলেকা নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে কাউন্সিলররা দলের নির্বাচিত পুরপ্রধান বা উপপ্রধান সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন বা আপত্তি তুলতে না পারে তার জন্য এই মুচলেকা নিতে চলেছে তৃণমূল।

সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে পুর বা উপপ্রধান নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তবে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কাদের পুরপ্রদান করা হবে। দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ যাতে আঙুল তুলতে না পারে তার জন্য এই মুচলেখা চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল কাউন্সিলদের কাছে এই ফর্ম বিলি করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। প্রত্যেক নির্বাচিত পুরসদস্যদের সেই ফর্ন ফিলাপ করে দলের কাছে জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি কাউন্সিলর রয়েছে তৃণমূলের কাছে। মুচলেকা বা সম্মতিপত্রতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা এই জনপ্রতিনিধি সর্বসম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছি যে দলের সর্বোচ্চ নেত্রী দলের পক্ষ থেকে পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান নির্বাচনের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করছি।’

একইভাবে পঞ্চায়েত ভোটের পরেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের ফর্ম তৈরি করা হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনায় মূলত অনাস্থা এবং দলীয় কোন্দল আটকাতে এই ফর্ম তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উঠেছিল। তবে পুরসভার ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই পদ্ধতি দলের কোন্দল রুখতে কতটা কার্যকরী সেটাই দেখার।

বন্ধ করুন