পুরভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার গয়েশপুর পুরসভা এলাকা। বুধবার সন্ধ্যায় খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক তৃণমূল কর্মী। নিহত তৃণমূল নেতার নাম প্রদীপ শীল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বুধবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়েশপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। সেই সময়ই বিজেপির ব্লক সভাপতির দাদা তাপস বৈদ্য আসেন চায়ের দোকানে। অভিযোগ, এরপরে একে অপরকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করতে শুরু করেন। তা থেকে শুরু হয় বচসা। বচসা পৌঁছায় হাতাহাতিতে। শেষে তাপস বৈদ্যর দাদা ধারালো অস্ত্র বের করে প্রদীপ শীল এবং তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মী শ্যামল দেবনাথকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন।
পরে ঘটনাস্থলে তৃণমূলের অন্যান্য কর্মীরা চলে আসলে সেখান থেকে পালিয়ে যান বিজেপির ব্লক সভাপতি দাদা ও তাঁর দলবল। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামল দেবনাথকে বাঁচানো গেলেও প্রদীপ শীলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তৃণমূল কর্মীর চিকিৎসা চলছে কল্যাণীর একটি হাসপাতলে।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বিজেপি পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।