রাস্তা অবরোধের জেরে গলসিতে আটকে পড়ল ভ্যাকসিনের কনভয়। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়ায় যাচ্ছিল কনভয়। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার পথেই গলসিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবরোধের জেরে আটকে পড়ে সেই কনভয়। কৃষি আইনের প্রতিবাদে এদিনের অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ভ্যাকসিনের ভ্যান আটকে যাওয়া নিয়ে তাঁর সাফাই, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না। ভ্যাকসিনের গাড়ি আসবে এ ব্যাপারে আগে থেকে তাঁকে অবগত করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা থেকে বর্ধমানে এসে পৌঁছয় ভ্যাকসিনের কনভয়। বর্ধমান সিএমওএইচ অফিসে ভ্যাকসিন নামানোর পর সেই গাড়ি যখন দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল, সেই সময় গলসির গলিগ্রামের কাছে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে ভ্যাকসিনের গাড়ি। অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়ে করোনার ভ্যাকসিনের ওই কনভয়।
সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর থেকে খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্যাকসিনের ভ্যানটিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে গলিগ্রাম হয়ে বেশ কিছুটা রাস্তা ঘুরপথে নিয়ে গিয়ে আবার ফারাজ মোড়ের কাছে গাড়িটিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে তুলে দেয়। সেখান থেকে ভ্যাকসিনের গাড়ি দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। কোনও জমায়েতের জেরে এভাবে ভ্যাকসিনের ভ্যান আটকে যাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
যদিও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘এই যে ভ্যাকসিন আসছে এ ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে অবগত করা উচিত ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি। অবরোধ চলাকালীনও আমি বারবার ঘোষণা করেছি যে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স, ছাত্র, রোগী অথবা কোনও মেডিসিনের গাড়ি যদি আসে তবে জায়গা করে দিতে হবে। আর তা করাও হয় এদিন। কিন্তু ভ্যাকসিনের গাড়িটি পিছনের দিকে কোথাও আটকে থাকে। পরে পুলিশ অন্য রাস্তা দিয়ে ওই গাড়িটিকে নিয়ে যায়।’
এদিকে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিশানা করে টুইট করেছেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি লিখেছেন, ‘সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজনৈতিক ভণ্ডামিতে আটকে গেল ভ্যাকসিন। রাস্তা আটকানোয় বদল করা হয়েছে ভ্যাকসিনের রুট। বহুমূল্য ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গেল তার দায় কে নিতো? লজ্জা হওয়া উচিত।’