রাস্তায় বেরিয়ে ট্রাক চালক-খালাসিদের কাছ থেকে তোলাবাজি বা পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ নতুন নয়। এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ট্রাক মালিকরা। অতীতে এ নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে ট্রাক অপারেটার্সরা। এবার পুলিশে জুলুমবাজি এবং তোলাবাজির প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলন করেছেন নামতে চলেছেন তারা। পুজোর আগে তিন দিন ধর্মঘটের ডাক দিল ট্রাক অপারেটার্সদের সংগঠন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে রাজ্যে পণ্য পরিবহণ ধাক্কা খেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উলটে গেল ৮১০ কেজি ওজনের সোনার গহনা বোঝাই ট্রাক, দাম ৬৬৬ কোটি টাকা, যেন গুপ্তধন!
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েসনের তরফে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, জায়গায় জায়গায় পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা চালক খালাসিদের কাছ থেকে তোলাবাজি করছে। আর টাকা না দিলেই সে ক্ষেত্রে তাদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়াও আরও একাধিক অভিযোগ ও দাবি রয়েছে ট্রাক মালিকদের। সেগুলি হল, ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।তাঁদের অভিযোগ, ওভারলোড গাড়িগুলি বাড়তি টাকা দিয়েই কার্যত পুলিশি পাহারায় চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, আন্ডারলোড গাড়িগুলিকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।একাধিকবার ওয়েব্রিজে (কাঁটা) ঢুকিয়ে দিয়ে প্রচুর টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, মাল লোডিংয়ের সময় স্থানীয় কাঁটায় ওজন করা হয়। তার জন্য ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। তারপরও সরকারি কাঁটায় ওজন করাতে হয়। তাতে ২৩৬ টাকা দিতে হয়। এরফলে খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে। এইসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বলে তারা দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া, অনলাইনে কেস দিয়ে রাস্তায় ট্রাক চালকদের থেকে টাকা আদায় করা যাবে না।অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে। ২০ বছর পর্যন্ত ট্রাক চালাতে দিতে হবে। তাছাড়া টহলদারির নামে কোনওভাবেই হেনস্তা করা যাবে না এবং সর্বশেষ দাবি হল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীরা হেনস্থা করতে পারবেন না।সংগঠনের তরফে যে তিনদিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তা হল ১১ সেপ্টেম্বর, ১২ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর। রাজ্যজুড়ে চলবে এই তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা চলবে ধর্মঘট। উল্লেখ্য, গত ২৪ অগস্ট ফেডারেশনের সদস্যরা একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরফলে বাণিজ্যে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।