বর্ষা শুরু হতেই বাড়ছে ডেঙ্গু। সেই আতঙ্কের মধ্যেই আলিপুরদুয়ারের কালচিনির চা বলয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে যক্ষ্মা। প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সেখানে যেভাবে বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এখনও যারা যারা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কালচিনিতে ৩৪৮ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। কালচিনির বিএমওএইচ ডা. সুভাষ কর্মকার জানিয়েছেন, চা বলয়ে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। কালচিনি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দু-সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকলে, রাতে ঘেমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, কাশি প্রভৃতির লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত তাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলছে স্বাস্থ্য দফতর।
মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কোলোসিস জীবাণু হল যক্ষা রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সময় লেগে যায় ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। ফলে এটি একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া নয়। যক্ষ্মাকে একটি বায়ুবাহিত রোগ বলা হয়। সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে এই জীবানু ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যারা অপুষ্টির শিকার, ডায়াবেটিসের রোগী বা যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তারাই বেশি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে সারা বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থ অংশ যক্ষা রোগী ছিল ভারতেই। সেই সময় ভারতে ৮.৩ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার মধ্যে ভারতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ২.৩ লক্ষ। অর্থাৎ ভারতেই যক্ষ্মা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশি।