গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জেলায় বাজ পড়ে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েই। দুই যুযুধান শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন। তারই মধ্যে চলছে কটাক্ষ ও পাল্টা কটাক্ষ।
বুধবার সিঙ্গুরের বজ্রপাতে মৃতা সুস্মিতা কোলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে দলের মধ্যে বেসুরো নেতাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।সেখানে পৌঁছে সুস্মিতার মেয়ে ও স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। যাতে দ্রুত কেন্দ্রের বরাদ্দ ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকা পেতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু নথিপত্রও তুলে দেন তাঁর হাতে। সেখানেই দলের দলবদলু নেতাদের নিশানা করে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘ যাঁরা যাঁরা বেসুরো গাইছেন, তাঁরা দ্রুত বিদায় নিন। আমরা আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম যাঁরা এখন যেতে চাইছেন। তাঁরা কোনও স্বার্থ নিয়ে এ দলে এসেছিলেন, স্বার্থ ফুরিয়ে গিয়েছে, তাই বেরিয়ে যেতে চাইছেন। বিদায় হোন। আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব। আমাদের ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ৩৭ শতাংশ মানুষ আমাদের পাশে আছেন।’
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফলের পর তৃণমূলে ঠাঁই পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অধিকাংশ দলবদুল নেতারাই। সেই দলে ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন সোনালি গুহ, সরলা মূর্মূ, অমল আচার্যরা। তাঁদের পদ্মত্যাগের পর এ বার বেশ কিছু হেভিওয়েটরাও ‘বেসুরো’ গাইতে শুরু করেছেন।তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, তেমনই রাজ্য বিজেপির বৈঠকে হিন্দিভাষী নেতাদের দাপট নিয়ে সমালোচনার সুর তুলে সেই দলে নাম লিখিয়েছেন সব্যসাচী দত্তও।