পুলিশের খাতায় ফেরার দুই নেতার সঙ্গে দেখা গেল করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ককে। এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে অভিযুক্ত দুজনকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।|
গত মঙ্গলবার করণদিঘি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। অনাস্থা প্রস্তাবের সভায় করণদিঘির তৃণমূলের বিধায়ক গৌতম পাল ছাড়াও হাজির ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের সম্পাদক মহম্মদ ফাইজুল ও করণদিঘির যুব তৃণমূল সভাপতি কাউসার আলম। তাঁরা দুজনেই পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত। পুলিশের খাতায় তাঁরা দুজনেই ফেরার। ফেরার থাকা সত্বেও এদের দুজনকে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দেখা যাওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।
এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ গোস্বামী জানান, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। তবে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এ নিয়ে অবশ্য বিতর্কের কিছু দেখছেন না করণদিঘির বিধায়ক। তাঁর মতে, তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করায় খুশিতে অনেকেই এসেছিল। এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কিছু নেই। যাঁদের নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত, তাঁদের অন্যতম মহম্মদ ফাইজুলের দাবি, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। যেহেতু দলের কর্মসূচি ছিল, তাই গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনের নজরে এসেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, প্রকাশ্যে সভায় দুজন ফেরার হাজির থাকলেন। অথচ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারল না।