হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ব্যারাকপুরের মিডল রোডের বাসিন্দা ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায় ও বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সন্দীপ কুমার ঠাকুরতার। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা দেহ ফেরত পেতে চেয়েছিল। সেই মতোই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মৃত দু'জনের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছোয় পরিবারের সদস্যদের হাতে। পুজোর আগে মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ১১ সেপ্টেম্বর বারাসতের এক মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হিমাচল প্রদেশের খামেঙ্গার দিকে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা-সহ ৬ জন। মোট ২৬ দিনের সফর ছিল তাঁদের। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় খামেঙ্গা হিমবাহের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন ভাস্কর ও সন্দীপ। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। রবিবার সকালে মৃতদের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছোয় তাঁদের বাড়িতে। ব্যারাকপুরে ভাস্করের এক প্রতিবেশী জানান, স্থানীয় গাইড, শেরপা ও ট্রেকিং দলের অন্যান্য সদস্যদের উদ্ধারের জন্য ৩২ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। সেই দলে সেনাবাহিনী, আইটিবিপির সদস্যরা ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেককে উদ্ধার করে কাজায় নিয়ে আসেন। তবে মৃত্যু হয় দু'জনের। এরপর চণ্ডীগড় ও দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছায় তাঁদের কফিনবন্দি দেহ।
রবিবার যখন ব্যারাকপুরে ভাস্করের কফিনবন্দি দেহটি আসে, তখন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছান ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস। ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক জানান, ‘প্রথম থেকেই পরিবারের লোকেদের দাবি ছিল, দেহ যেন পরিবারের সদস্যদের কাছে নিয়ে আসা হয়। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, সেটা হয়ত সম্ভব হবে না। এরপর রাজ্যের প্রশাসনের তরফে হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হিমাচল প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করেন। এটাই সবচেয়ে বড় কথা যে, পরিবারের লোকেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’