বঙ্গের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গোহারা হয়েছে বিজেপি। আসানসোল–বালিগঞ্জ হাতছাড়া হতেই বিজেপির অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। আর রবিবার বহরমপুর–মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। তাঁর সঙ্গে পদত্যাগ করলেন রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্য। এই তালিকায় রয়েছেন বহরমপুরের বিধায়ক কাঞ্চন মৈত্র এবং বাণী গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? আজ, রবিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে গৌরীশংকর ঘোষ অভিযোগ করেন, জেলা থেকে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের জন্য ৫১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ১৮ জনের নাম বাদ দিয়ে জেলা সভাপতি নিজের ইচ্ছেমতো লোকজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা অযোগ্য। এই কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই বিরক্ত হয়ে নিজেই রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক? আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠরা দলে জায়গা পাচ্ছে। আর দলে সিনিয়র সদস্যদের থেকে আদর্শ কর্মীদের উপযুক্ত পদমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। তাই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে দলের অন্দরে। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে অসচ্ছতা থেকে যাচ্ছে। তাই এখান থেকে সরে গেলাম।’
এই জেলায় বিজেপিকে টিকিয়ে রাখতে পৃথক সংগঠন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। এই বিষয়ে বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক কাঞ্চন মৈত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা বিজেপি সভাপতি তুঘলকি আচরণ করছেন। নিজের ইচ্ছামত চলছেন। তার ফল ভুগতে হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনে। তাই রাজ্য কমিটির সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।’