বীরভূমের কোপাই নদীতে ডুবে দুই সহপাঠীর মৃত্যু। দুজনেই যমজ ভাই ছিল। কোপাই নদীতে নেমেছিল। আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেনি। বুধবার সকালে স্কুলে না গিয়ে ৬জন বন্ধু মিলে নদীতে নেমেছিল। কিন্তু তলিয়ে যায় দুই ভাই। মৃত দুই ভাইয়ের নাম সায়ক পাল ও সোহম পাল। ঘটনায় শোকের ছায়া প্রফেসর কলোনি এলাকায়। তাদের বাবা স্কুল শিক্ষক। শোকে পাথর গোটা পরিবার।
বাসিন্দারা তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে। তবে অভিভাবকদের দাবি, নদীর এই পরিণতির জন্য দায়ী বালি মাফিয়ারা। তারাই নষ্ট করেছে কোপাইকে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এদিকে অনেকে বলেন কোপাই নদী নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন আমাদের ছোট নদী চলে আঁকেবাঁকে। আবার অনেকে বলেন নওগাঁর নাগর নদী নিয়ে কবি এই কবিতা লিখেছিলেন।
সঙ্গীতশিল্পী শুভশ্রী ভট্টাচার্য ফেসবুকে এনিয়ে সরব হয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, আমার ছেলের স্কুলের দুই সহপাঠী যমজ দুটি ভাই আজ কোপাইতে ডুবে মারা গেল। ক্লাস টুয়েলভের দুই ছাত্র। বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে নেমেছিল আর উঠতে পারেনি।
এবার একটু ভাবুন কেন প্রতিবছর কোপাইতে এত লোক ডুবে মরে? রবীন্দ্রনাথের আমলের সেই আমাদের ছোট নদী কেন এখন কসাইতে পরিণত হল? কার পাপে?
আমরা সবাই জানি, শুধু চোখ বন্ধ করে থাকি। সবার চোখের সামনেই চলছে বেআইনিভাবে মাটি বা বালি তোলার কাজ। অজয়ের কাছে রাস্তার ধারে ঢিবি করে রাখা পাহাড়ের মতো বালিয়াড়়ি আপনি হয়তো শান্তিনিকেতন আসার সময় লক্ষ্যও করেছেন। …অজয় কোপাই কিন্তু সকলের অলক্ষ্যে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে টলটলে জল। আপনি ভাবলেন পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি…এতটুকু জলে কি ডোবা যায়? আপনি তো জানেন না পাতা ঝাঁঝি শেওলার ফাঁকে মরণফাঁদ রয়েছে। …
তিনি লিখেছেন আর কেউ কোপাইতে নামবেন না। প্লিজ। কাউকে নামতেও দেবেন না। নেতা মন্ত্রীদের কারোর কিছু যায় আসবে না। বালি তোলার কাজ চলছে চলবে। এই দুটি ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী বালি মাফিয়ারা ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়াবে। কোল খালি হবে আমার আপনার মতো সাধারণ লোকের। অজয়ের উপর রেলব্রিজটা না কোন দিন ভেঙে পড়ে বালিচুরির চক্করে।
অনকেই জবাব দিয়েছেন এই পোস্টের। একজন লিখেছেন রাজনীতিবিদ আর পুলিশ একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।