বুধবার সকাল ৯টা। ওড়িশার উপকূলবর্তী বালাসোরে আছড়ে পড়ে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদদের কথায় ঝড়ের ল্যান্ডফল। ১৪৫ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে থাকে এলাকায়। দুর্বল হওয়ার আগে ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বালেশ্বরের কাছে বরাজাধৌলি গ্রামের কাছে সকাল ৯টা নাগাদ ঝড়ের ল্যান্ডফল হয়। এরপর উত্তর ও উত্তরপূর্ব উপকূলরেখা বরাবর বালাসোর ও ভদ্রক জেলা ছুঁয়ে ঝড় বয়ে যায়।
ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ আধিকারিক প্রদীপ জেনা বলেন, সাইক্লোন বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে যে ধারণা করা হয়েছিল তার তুলনায় ঝড়ের দাপট কিছুটা দুর্বল ছিল। বালাসোর ও ভদ্রকের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিও হয়েছে।
তবে ওড়িশায় ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে দুজনের মৃত্য়ুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশা প্রশাসন সূত্রে খবর, কেওনঝাড় জেলায় একজন বয়স্ক মানুষের উপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বালাসোরে গাছ পড়ে একজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় এদিন ব্যাপক বৃষ্টিও হয়েছে। বালাশোরের সমুদ্র তীরবর্তী তিনটি গ্রামে জল ঢুকে যায়। হাজার পাঁচেক মানুষ জলবন্দি হয়ে যায়। মূলত ভরা কোটালের জেরেও জল ঢুকে যায় গ্রামে। ভদ্রক জেলার বাসুদেবপুর ব্লকে প্রায় ১০টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে যায়। রাস্তা কেটে গ্রাম থেকে সমুদ্রের জল বের করার চেষ্টা করেন বাসুদেবপুরের বাসিন্দারা। চাঁদিপুরে একটি রিসর্টে সমুদ্রের জল ঢুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, ‘সাইক্লোনের ধাক্কায় যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত পুরর্গঠনের জন্য বিভিন্ন টিম কাজ করছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে যাওয়া গাছ সরানোর কাজ হচ্ছে।’