বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Balasore rail accident: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ নিয়ে দুই পরিবারের টানাটানি, DNA পরীক্ষায় শনাক্ত হল দেহ

Balasore rail accident: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ নিয়ে দুই পরিবারের টানাটানি, DNA পরীক্ষায় শনাক্ত হল দেহ

মৃতদেহ নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব। প্রতীকী ছবি (REUTERS)

করণদিঘির আনজারুল হক বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার সময় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরেই তাঁর পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর আসে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায় মৃতদেহের সঙ্গে আনজারুলের মিল রয়েছে। এরপরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আনজারুলের পরিবার। 

বালেশ্বরে অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও শনাক্ত হয়নি বহু দেহ। সেগুলি শনাক্ত করণের কাজ চলছে। তারই মধ্যে দেখা গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। একই দেহ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চলল দড়ি টানাটানি। একই দেহের দাবিদার দুই জেলার দুই পরিবার। মৃতদেহের পরিচয় নিয়ে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। পরে এইমসে ডিএনএ পরীক্ষার পর মৃতদেহটি আসল পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। একদিকে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির একটি পরিবার দাবি করছে মৃতদেহটি তাদের, অন্যদিকে হাওড়ার উলুবেরিয়া জগৎবল্লভপুরের একটি পরিবার মৃতদেহের জন্য দাবি জানায়।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, করণদিঘির আনজারুল হক বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার সময় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরেই তাঁর পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর আসে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায় মৃতদেহের সঙ্গে আনজারুলের মিল রয়েছে। এরপরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আনজারুলের পরিবার। প্রশাসনের তরফে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় যে দেহটি আনজারুলের নয়। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি হল হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিদ্দার। দুজনেই একই পোশাক পড়েছিলেন সেই কারণে দেখ নিয়ে দেখা দেয় ধন্দ। জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীর একজন জরি কর্মী। তিনি কেরলে কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর দেহে একাধিক ক্ষত চিহ্ন ছিল। কিছুতে তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এইমসে ডিএনএ এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার পর তাঁর মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 মৃতদেহটি তাঁর ভাই তৌহিদের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন। তিনি জানান, ‘আমরা মৃতদেহের সন্ধানে ওড়িশা গিয়েছিলাম। আমরা যখন সেখানে ছিলাম তখন জানতে পারি, একটি পরিবার দাদার মৃতদেহটিকে তাদের আত্মীয় বলে দাবি করেছে। আমার সেখান থেকে কোলাঘাটে পুলিশ মর্গে পৌঁছয়। পরে পুলিশ জানায়, দেহটি করনদিঘির পরিবারের কোনও আত্মীয় নয়। এরপর পুলিশ আমাদের হাতে দেহ তুলে দেয়।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন