শিলিগুড়ি থেকে দুই বান্ধবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিবেকানন্দ নগরের এই জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একই ঘরের ভিতর থেকে জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সম্পর্কটা নিবিড় ছিল দুই বান্ধবীর৷ আর এতটাই নিবিড় ছিল যে, একে অন্যের থেকে আলাদা হওয়ার কথা ভাবতেই পারেনি তারা৷ একজনের বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর মেনে নিতে পারেনি আর একজন। তাই বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ।
কেন এই আত্মহত্যা করল তারা? স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব দু’জনের। সুখ–দুঃখ ভাগ করে নিয়ে কেটেছে বহুদিন। ছোট থেকেই স্কুল, খেলাধুলা, পড়াশোনা সবই একসঙ্গে কেটেছে। এভাবেই বেড়ে উঠেছিল দু’জন। কিন্তু এবার ঠিক হয়েছিল বান্ধবীর বিয়ে। এপ্রিল মাসেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল দুই বান্ধবী। বিয়ের পর পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ভাবনা থেকেই ভেঙে পড়ে দু’জনে। একজনের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় দু’জনের দেহ। আর উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট।
কী লেখা আছে সুইসাইড নোটে? পুলিশ সূত্রে খবর, হতাশা থেকেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। সোমবার রাতে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ৷ আর সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের সব কাজ একসঙ্গে করবেন। আমাদের হাত কেউ খুলে দেবেন না। আমাদের আলাদা করে দেবেন না। আমাদের একসঙ্গে নিয়ে যাবেন। একসঙ্গে রাখবেন। আমাদের ক্ষমা করবেন।’
পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আগামী ৭ বৈশাখ বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, গভীর বন্ধুত্ব কী বদলে গিয়েছিল ভালোবাসায়? সমাজের বাঁকা চোখের ভয়েই কী আত্মহত্যা? তবে অন্য বন্ধুরা মনে করছেন, ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে, তোড়েঙ্গে দম মগর, তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে৷’ এই বার্তাই রেখে গেল তাদের দুই বান্ধবী।