এবার দুই মহিলা সোনা পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। সুতরাং বানচাল হয়ে গেল সোনা পাচারের ছক। একেবারে অভিনব কায়দায় রাজধানী এক্সপ্রেস চড়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছয় ওই দুই মহিলা সোনা পাচারকারী। আগে থেকে খবর থাকায় গ্রেফতার করা হয় তাদের। দুই মহিলার কাছ থেকে ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ওৎ পেতে বসে থাকেন। বুধবার রাতের রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে ওই দুই মহিলা সোনা পাচারকারী আসেন স্টেশনে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর পরই চলে তল্লাশি। দু’জনকে পাকড়াও করা হয়। ধৃত দুই মহিলা লীলা গোস্বামী এবং মৌসুমী অধিকারী। তাদের কাছ থেকে ২ কেজি ৬৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুরুষরা এই সোনা পাচার করতে গিয়ে বারবার ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই বিকল্প পথ হিসাবে গরীব গৃহবধূদের দিয়ে এই কাজ করার ছক কষা হয়। এমনকী রেস্তোরাঁর বার ড্যান্সার থেকে যৌনকর্মীদেরও এই কাজে লাগানো হয়েছে। যাতে কেউ সন্দেহ না করে। আর সোনা পাচার করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করা যায়।
ঠিক কী মনে করছেন গোয়েন্দারা? সূত্রের খবর, রাজ্যে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের কাজে মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এই দুই মহিলা সোনা পাচারকারী আদতে গৃহবধূ। তবে গ্রেফতার হওয়া লীলা গোস্বামী এবং মৌসুমী অধিকারীর পিছনে বড় মাথা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বড় মাথা কে বা কারা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।