রাজ্য–রাজনীতিতে যখন আইএসএফের সঙ্গে জোট বজায় রাখা নিয়ে সিপিআইএমের অন্দরে তোলপাড় হচ্ছে তখন দুই আইএসএফ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা ভাঙড় ১ ব্লকের আইএসএফ সভাপতি শরিফুল মোল্লা এবং সম্পাদক মিন্টু শিকারী। কেন তাদের গ্রেফতার করা হল? জানা গিয়েছে, ভাঙড় থানা ঘেরাও থেকে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর—ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাই তাদের গ্রেফতার করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের রানীগাছি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিন্টু শিকারীকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি, রাস্তা অবরোধ, লুটপাঠ–সহ একাধিক অভিযোগ আছে ভাঙড় থানায়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ তাদের খুঁজছিল। তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকেই ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরিফুল বিধানসভা নির্বাচনে ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙড় বিধানসভার দায়িত্বে ছিল। নওশাদ সিদ্দিকির জয়ের কারিগর এই দু’জন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে হারের প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে দাবি করেছে শরিফুল মোল্লা। এই বিষয়ে শরিফুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে আমাকে আর মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোটে হারার প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।’ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে বামফ্রন্ট–কংগ্রেস জোট তথা সংযুক্ত মোর্চায় শামিল হয়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ খাতা খুলছে ভাঙড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল করিমের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল সিদ্দিকি। ধৃতদের মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করবে পুলিশ।