বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বান এসেছিল। তার জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮ জন। এখানেই জীবন বাজি রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তাঁরা। সম্পর্কে তাঁরা মামা–ভাগ্নে। নাম তরিফুল ইসলাম এবং ফরিদুল ইসলাম। এখানে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে গতকাল বলেছিলেন, যাঁরা মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁদের প্রশাসনিক সভায় ডাকা হবে। দু’একটা নামও বলেছিলেন। কিন্তু তারপরেও আজ তাঁরা সভায় ঢুকতে পারলেন না বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে মালবাজারে? সোমবার এখানে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা হয় সেদিনের দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন। খোঁজ নিয়েছেন তাঁদের। আজ, মঙ্গলবার এনডিআরএফের সঙ্গে উদ্ধারে নামা দারা সিং, মানিক মহম্মদদের সরকারি বৈঠকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু বাদ পড়েছেন মামা–ভাগ্নে তরিফুল এবং ফরিদুল।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এদিন মামা–ভাগ্নে আশা করেছিলেন তাঁদেরও ডাকা হবে বৈঠকে। একবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করবেন। কিন্তু গোটা বিষয়টি সম্ভব হয়নি শুধু পুলিশের জন্য। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ডাক না পেলেও স্থানীয়দের প্রশংসা পেয়েছেন তাঁরা। তবু অনেক আশা নিয়ে এই দুই যুবক মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে আসেন। কিন্তু আমন্ত্রণ না থাকায় পুলিশ তাঁদের ঢুকতেই দিলেন না। আর তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
ঠিক কী বলছেন মামা–ভাগ্নে? এই ঘটনা নিয়ে তরিফুল ইসলাম–ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয়া দশমীর দিন উদ্ধারকার্যে আমাদের দু’জনের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। এরপর অনেকেই আমাদের সম্বর্ধনা দেন। এখানকার বিধায়ক আমাদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। কিন্তু ওই তালিকায় সকলের নাম থাকলেও আমরা কেন বাদ? বুঝতে পারছি না। তারপরও আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের বের করে দেয়।’