মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসরাতালে ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল এদিন। গতকালই তিনজন শিশউ সেই হাসপাতালে মারা গিয়েছিল। এরপর আজও দুই জন শিশুর মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে। এর জেরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে মোট মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের একজন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এবং একজন শুক্রবার সকালে মারা গিয়েছে। মৃতদের একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, নাম আসমা খাতুন, বয়স ৯ মাস। অপর মৃত শিশু ভূতনি চরের, নাম দেব মণ্ডল, বয়স ৬ বছর। জানা গিয়েছে, দুই শিশুই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মালদা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গতকালই সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যে শিশুমৃত্যুর সঙ্গে জ্বরের সম্পর্ক নেই। এই বিষয়ে নাকি তদন্ত হয়েছে। এর আগে মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোনও শিশু ভর্তি নেই। বিভাগে খুব বেশি সংখ্যায় শিশুও ভর্তিও নেই। তাছাড়া কোনও শিশু করোনা আক্রান্ত নয়। তাঁরা আরও দাবি করেন, যেভাবে মেডিক্যালের শিশু বিভাগ নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিকিৎসাধীন কোনও শিশুর জ্বরই অজানা নয়। প্রত্যেকের পরীক্ষা শেষে সঠিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে কয়েকটি শিশুর অবস্থা খুব ভালো নয় বলে জানান তাঁরা।
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের এহেন দাবির পর শুক্রবার সকালে ফের দুই জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। এদিকে জ্বরের ক্ষেত্রে শিশুদের চিকিত্সা সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক বিশেষজ্ঞ দলের চিকিত্সকরা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০-র বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে জলপাইগুড়ির একাধিক হাসপাতালে। এরই মধ্যে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জ্বরে আক্রান্ত ১০ জন শিশুর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।