বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার একেবারে স্রোতের মতো বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সকলেরই নাকি সেই সময় তৃণমূলে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বিজেপিতে গিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন তাঁরা। এদিকে ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি হতেই সেই দমবন্ধ হয়ে যাওয়া দলবদলু নেতাদের অনেকেই এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য নানা আবেদন নিবেদন শুরু করেছেন। সকলেরই একই দাবি, ভুল হয়ে গিয়েছিল। অমল আচার্য থেকে সরলা মুর্মু এই সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যে দলত্য়াগীদের নিয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল তা পূরণ হয়নি। এদিকে সেই দলত্যাগীরাই এবার বিজেপিতে গিয়ে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। এতে অস্বস্তি আরও বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। এসবের মধ্যেই বিজেপির অস্বস্তি কার্যত আরও বাড়িয়েছে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট। তিনি ওই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা একটি সরকারের সমালোচনা করার আগে, আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন।’
এসব কথা কানে গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কে কী পোস্ট করলেন তাতে যায় আসে না। যাঁদের হিম্মত আছে তাঁরাই বিজেপিতে থাকবেন। বিজেপিতে থাকার জন্য হিম্মত থাকা দরকার। ভোটের আগে লক্ষ লক্ষ লোক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যেসব তৃণমূলত্যাগীদের হিম্মত রয়েছেন তাঁরা থাকবেন। দুএকজন যাবেন এনিয়ে ভাবার কিছু নেই।’ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সংখ্যাটা দু একজনই? নাকি উলটো স্রোতে আদি বিজেপি নেতৃত্বও এবার যোগ দেবেন তৃণমূলে?