ঝাঁ চকচকে ওয়েবসাইট। তার মধ্যেই নাকি পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে অক্সিজেন। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আত্মীয়রা ছুটেছিলেন তা কিনতে। টাকা পাঠাতেই বেরিয়ে এল আসল রূপ। অক্সিজেন পাওয়া তো দূর অস্ত, টাকা নিয়েই বেপাত্তা ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ। এরাজ্যে বসেই অক্সিজেন সরবরাহের নামে দিল্লিতে ফাঁদ পেতেছিল দুই যুবক। অবশ্য শেষরক্ষা হল না। দিল্লিতে হওয়া অক্সিজেন সরবরাহের প্রতারণার ঘটনায় দুই চাঁইকে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার গোয়েন্দারা।
এই চক্রের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানতে ধৃতদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেজন্য ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নথিপত্র-সহ বেশ কয়েকটি বেনামি সিম কার্ড উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহের ওয়েবসাইট খুলে জাঁকিয়ে বসেছিল বনগাঁর বাসিন্দা সৌরভ সাহা ও গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু পাল নামে দুই যুবক। পিন্টুর আবার মোবাইলের দোকানের ব্যবসাও রয়েছে ওই এলাকায়।
দক্ষিণ দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকার বাসিন্দা অলক নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লির সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, এই প্রতারণার কারবার বনগাঁ থেকে চালানো হচ্ছে। ওয়েবসাইট ও সিম কার্ডের তথ্যের সূত্র ধরেই ওই দুই যুবকের নাম উঠে আসে। এরপর বনগাঁয় হানা দিয়ে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লির সাইবার ক্রাইমের অফিসাররা। ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁরা আরও জানতে পারেন, এই চক্র শুধুমাত্র এ রাজ্যেই সীমিত নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরাজ্যে আবার আলাদা কারবার চলত। সরকারের নির্দিষ্ট বেঁধে দেওয়া দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে মজুত করে রাখত অভিযুক্তরা। পরে চড়া দামে সেগুলো রোগীর পরিবারের কাছে বিক্রি করছিল। দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে বনগাঁ থেকে তাদের গ্রেফত ার করে।