দুটি পণ্যবাহী জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে হুগলি নদীতে ডুবে গেল ছাই বোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ। আজ, শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কুলপি থানা এলাকার হুগলি নদীর পয়লা নম্বর এলাকায়। এদিন ছাই বোঝায় পণ্যবাহী জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তখন উল্টো দিক থেকে আসা আর একটি পণ্যবাহী জাহাজ ধাক্কা মারে ওই জাহাজটিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই ছাই বোঝাই জাহাজটির একাংশ। পরে ধীরে ধীরে হুগলি নদীতে ডুবে যেতে থাকে জাহাজটি। জাহাজে থাকা কর্মীদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজটি খিদিরপুর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হুগলি নদীর কুলপির পয়লা নম্বরের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় জাহাজের পাঠাতন ফুটো হয়ে জল ঢুকে যায়। জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিক–সহ অন্যান্যরা বিপদ বুঝে চিৎকার শুরু করে দেয়। বাংলাদেশি জাহাজের নাবিক ও অন্যান্য কর্মীদের চিৎকারে হুগলি নদীতে থাকা মৎস্যজীবীরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলপি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ থেকে সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশি ওই জাহাজটির নাম এম ভি রাফসান হাবিব–৩। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতার অভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশি জাহাজটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাল ভর্তি থাকায় সেটি ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করে। শনিবার কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে ছাই নিয়ে হুগলি নদীর পথ ধরে নামখানা হয়ে তারপর বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। এই ডুবন্ত জাহাজটিকে তোলার জন্য আরও দুটি জাহাজ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজে থাকা মানুষজনকে।
অন্যদিকে হুগলি নদীতে উল্টো দিক থেকে আসা একটি জাহাজ বাংলাদেশি পন্যবাহী জাহাজটিকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। জলপথের দুর্ঘটনায় জাহাজের পাঠাতন ফুটো হয়ে যায়। তখন হু হু করে জল ঢুকতে থাকে জাহাজটিতে। পণ্য ভর্তি থাকায় দ্রুত জাহাজটি হুগলি নদীতে ডুবতে শুরু করে। আর অন্য জাহাজটি খালি থাকার ফলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিশ। পলাতক জাহাজের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।