এবার বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই গেল করোনাভাইরাস। আর তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। গত ১৬ নভেম্বর স্কুল খুলেছে এই রাজ্যে। যদিও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু তার দশদিনের মাথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন দুই শিক্ষক। এই খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলের দরজা।
এই দু’জন শিক্ষক আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এমনকী সর্দি–জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে। গোটা ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নি তো! মঙ্গলবার শিক্ষকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশন।
এই ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকজন অভিভাবক ছেলেদেরকে নিয়ে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করিয়েছেন বলেও খবর। আজ স্কুল চত্বরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয় জোরকদমে। এই বিষয়ে স্কুলের অশিক্ষক কর্মী চন্দন দাস জানান, এক শিক্ষক স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন। আর একজন শিক্ষক জ্বরে ভুগছিলেন। সোমবার তিনিও কোভিড পজিটিভ হয়েছেন।
পরপর দুই শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্কুল বন্ধ রাখার। তবে স্কুলের আরও কয়েকজন শিক্ষক জ্বর–সর্দিকাশিতে আক্রান্ত বলে খবর মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে দু’দিনের জন্য। তবে বিষয়টি উদ্বেগের। যাঁরা ওই দুই শিক্ষকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের সকলেরই কোভিড–১৯ পরীক্ষা করানো হবে।’