‘শুভেন্দু প্রেমে আসক্ত আমরা’। এটা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য– রাজনীতি। কারণ এই গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’ স্বয়ং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই গ্রুপেই আছেন দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক উপপ্রধান এবং এক তৃণমূল যুব নেতার এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই তাঁরা ওই গ্রুপ থেকে লেফট হয়ে যান। এই দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁরা জানতেন না এমন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন।
কারা ছিলেন এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে? সূত্রের খবর, দাসপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা তথা তমলুক ঘাটাল সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির সম্পাদক কৌশিক কুলভি এবং দাসপুরে তৃণমুল কংগ্রেস পরিচালিত বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজল সামন্ত। এই দু’জন ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই ওই গ্রুপ ছাড়েন দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
এখন প্রশ্ন উঠছে, একুশের নির্বাচনের আগে থেকে কী ভাবে দুই তৃণমূল নেতা ‘ভুল করে’ গ্রুপে থেকে গেলেন? ঠিক কী বলছেন কাজল সামন্ত? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে কাজল সামন্ত বলেন, ‘যখন উনি (শুভেন্দু) তৃণমূল কংগ্রেস করতেন তখন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এখন তিনি বিজেপি করেন। তাই কোনও যোগাযোগ নেই। অজান্তে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। জানতে পেরেই লেফট হয়েছি।’
ঠিক কী বলছেন আর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা? এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৌশিক কুলভি বলেন, ‘আগে জানলে বেরিয়ে যেতাম। পরে জানতে পারলাম। তাই জানার সঙ্গে সঙ্গে লেফট হয়ে গিয়েছি গ্রুপ থেকে।’ কিন্তু এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর নাকি তিনি খুব হেসেছেন।