মন্ত্রী হয়ে প্রথমবার ধূপগুড়ি পুরসভায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। সেখানের বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চ করা হয়েছিল। সেখানে মন্ত্রী পৌঁছতেই দলের দুই নেতার মধ্যে শুরু হয় তুমুল বচসা। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হতে হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে।
ঠিক কী ঘটেছে মন্ত্রীর সামনে? মন্ত্রী মঞ্চের সামনে আসতেই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এবং টাউন ব্লক সভাপতির বচসা চরমে ওঠে। আঙুল তুলে একে অন্যকে আক্রমণ করেন তাঁরা। আর তাতেই গাড়িতে বসে রীতিমতো অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন। কে প্রথম মন্ত্রীকে নিজের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবেন তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এলো তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মন্ত্রীর কনভয় ধূপগুড়ি চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইভান দাস ও ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংয়ের মধ্যে তীব্র শুরু হয়। পাশের সমাবেশ মঞ্চে মন্ত্রীকে আসতে বলেন টাউন ব্লক সভাপতি। আর তাতে বাধা দেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান তিনি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি শেষে সেচ দফতরের বাংলোয় চলে যান। আর কয়েকদিন পরেই ধূপগুড়ি পুরসভার নির্বাচন। তার আগে মন্ত্রীর সামনে এমন গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি মানুষের কাছে বিরূপ বার্তা তৈরি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অবশ্য মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সাফাই দিয়ে বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে দুটো অনুষ্ঠান পড়েছিল। তাই ওরা দু’জনেই চাইছিল সেখানে যাই। একটু ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ওঁরা। আমি দুটো অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছি।’