নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের কাজ সামলালেন দুইজন উপাচার্য। একদিকে যেমন উপাচার্যের চেয়ারে বসে কাজ করতে দেখা গেল নতুন উপাচার্যকে, তেমনি ভিজিটর্স লাউঞ্জে বসে কাজকর্ম সামালেন পুরনো উপাচার্য। দুই উপাচার্যকে দেখে কার্যত হিমশিম খেয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। কার কথা শুনবেন আর কার কথা শুনবেন না, তা নিয়ে কার্যত ধন্দে পড়ে যান কর্মীরা। এমন এক ঘটনা সাক্ষী থাকল বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটার ক্যাম্পাস।
গত ২৯ জুলাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদের উপাচার্য সৈকত মৈত্রকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দাস্ত হয়েছিলেন উপাচার্য। এরই মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মলয়েন্দু সাহাকে ১ তারিখ থেকে উপাচার্যের পদে বসানো হয়। গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে তিন সপ্তাহের মধ্যে সৈকত মৈত্রকে পুনরায় উপাচার্য পদে বহালের নির্দেশ দেয়। তবে তখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের অর্ডারের কপি না পাওয়ায় রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মত মলয়েন্দু সাহা উপাচার্যের পদ সামলাচ্ছিলেন। পরে বেলা দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান উপাচার্য সৈকত মৈত্র।
তিনি নতুন উপাচার্যকে আদালতের রায়ের কপি দেখান। কিন্তু, তারপরেও কাজ চালিয়ে যান নতুন উপাচার্য। তখন ভিজিটর্স লাউঞ্জে বসে অপেক্ষা করেন সৈকত মৈত্র। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কিছু কাজকর্ম সামলান। পরে অবশ্য বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ উপাচার্যের ঘর থেকে বেরিয়ে যান মলয়েন্দু। এর পরেই সৈকত মিত্রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান। সৈকত মৈত্র বলেন, ‘নতুন উপাচার্যকে কোর্টের অর্ডার কপি দেখানোর পরেও চেয়ার ছাড়তে চাননি। পরে অবশ্য তিনি চেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন।’