বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দায়িত্ব নিয়ে বিরোধী দলনেতার গড়ে পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎবিহীন দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে গিয়ে অবাক হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এতদিন বাম শাসনে এবং অধিকারী পরিবারের রাজত্বে কোনও কাজ হল না! এবার কুণাল ঘোষের তৎপরতায় হলদিয়ার বিদ্যুৎহীন দুই গ্রামে খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর কাজ শেষ হলেই গ্রামবাসীরা পাবেন আঁধারে আলো।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎহীন হলদিয়া পুরসভার অন্তর্গত দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর। এখানের সমস্যা দেখে কুণাল ঘোষ দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আর তাঁর উদ্যোগেই পদক্ষেপ করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বিদ্যুৎ বিভাগের পদস্থ আধিকারিকরা। এর আগে বিদ্যুৎ পেতে বাম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। পরে শুভেন্দু অধিকারীর কাছেও দরবার করেন তাঁরা। কিন্তু গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। এবার যেন নতুন আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে গ্রামবাসীরা।
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? বিদ্যুৎ দফতরের রিপোর্ট দেখে দ্রুত কাজে নামার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে হলদিয়ার ২৭ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর গ্রামে শুরু হল বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। লরি করে খুঁটি এনে কাজ শুরু করা হয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই প্রথমবার বিদ্যুতের আলো দেখবে সৌতনপুর–বিষ্ণুরামচক। ৭৫ বছরের অন্ধকার জীবন কেটে আলোর রোশনাইয়ে ভাসবে গ্রামবাসীরা। সেদিকেই এখন তাকিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
ঠিক কী বলেছিলেন কুণাল ঘোষ? এখানের দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি শুনে তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন। তারপর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘ভাবা যায়? দু’টি গ্রাম। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর। দীর্ঘ বাম জমানা এবং পরে অধিকারীরাজ। বারবার আবেদন নিষ্ফলা। হলদিয়া এসেছি। মাখনবাবুর বাজার মোড়ে বসে চা খাচ্ছিলাম। নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, দুই গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। রাস্তাও খারাপ। শুভেন্দু এবং শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ। তারপর গ্রামে গেলাম। এখানের অন্যত্র বিদ্যুৎ আছে। সবুজ গ্রাম, একাধিক পুকুর, শান্ত সুন্দর লাগল। তবে এখানে যুগে যুগে সবাই শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার দেখা যাক কী করা যায়।’