আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ক্লাস শুরু করতে হবে পরদিন (১ অক্টোবর) থেকেই। নয়া শিক্ষাবর্ষের সূচিতে তেমনই নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যদি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়, তাহলে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার সুযোগ পাবে। তবে কোন মাধ্যমে ক্লাস হবে, তা ইউজিসির নির্দেশিকায় নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। অনলাইন, অফলাইন নাকি দু'ভাবেই ক্লাস হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছে ইউজিসি।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে স্নাতক স্তরের প্রথম স্তরে ভরতির প্রক্রিয়া এবং ক্লাস শুরুর যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ইউজিসির নির্দেশিকা মতো পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভরতি সম্পূর্ণ করতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ক্ষেত্রে। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ক্লাস শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ভরতি প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ পালটানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তারইমধ্যে যে পড়ুয়ারা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেবেন (সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেবেন), করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাঁদের পুরো টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। তারপর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া বাতিল করলে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে, যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাস, সেমেস্টারের পরীক্ষার পরিকল্পনা করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।