কয়েক মাস আগেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী হিসাবে কাজ পেয়েছিলেন। এরপর মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্ঘ সমবায়ের পদ পাওয়ার পর থেকেই নাকি ভোল পাল্টে যায় উলুবেড়িয়ার সাঁতড়াপাড়ার বাসিন্দা মনিকা সাঁতরার। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে দুধসাদা ঝাঁ চকচকে বাড়ি করে ফেলেছেন তিনি, যা দেখে অনেকেই অবাক। এত কম রোজগার থাকা সত্বেও কীভাবে এই রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি তৈরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বাণীবন সাঁতড়াপাড়ার বাসিন্দা মনিকা সাঁতরা কয়েকমাস আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী হিসাবে কাজ পান। মাসে ৮ হাজার টাকা বেতন। ব্লকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংঘ সমবায়ের সম্পাদিকা মনিকা। এর জন্য অবশ্য তিনি কিছু পান না। মনিকার স্বামী কারখানার বদলি শ্রমিক। মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মতো রোজগার। সম্প্রতি মনিকা তাঁর চার কাঠা জমির ওপর ১৪০০ বর্গফুটের একটি বাড়ি তৈরি করেছেন। ঝাঁ চকচকে দুধসাদা বাড়ি। তিনটি বেডরুম, ডাইনিং রুম, রান্নাঘর, শৌচাগার ও দুটি বিশাল বারান্দা রয়েছে। বিশাল এই রাজপ্রাসাদ দেখে অনেকেরই চক্ষু চরকগাছ। কারও মতে, ওই বাড়ি তৈরি করতে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবার কারও মতে, ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই বিশাল বাড়ি তৈরি নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
যদিও এই প্রসঙ্গে মনিকাদেবীর বক্তব্য, ‘বাপের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা পেয়েছেন। বন্ধুদের থেকেও বড় অঙ্কের টাকা ধার নেওয়া হয়েছে। অনেক কষ্ট করে বাড়ি করেছি। কোনও অসৎ উপায়ে বাড়ি তৈরি করিনি।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করেন, তাহলে দেখিয়ে দেব, কীভাবে বাড়ি তৈরি করলাম।’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মনিকাদেবী জানান, ‘আমাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংঘ সমবায়ের সম্পাদিকা করা হয়েছে বলে আমাকে হিংসা করে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কারো কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি।’