পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে। আর তা হল—রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী? তিনি কি অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছেন? নাকি ঘরের ছেলে হিসেবে ঘরেই থাকছেন? আসলে তাঁর দলহীন জনসংযোগ সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে। এবার কর্মিসভায় শাসক দলের বিধায়ককে তা নিয়ে সটান প্রশ্নও করলেন এক অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। এখন রাজ্যের এই হেভিওয়েট নেতাকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। যা গত দু’মাস আগেও দেখা গিয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন, করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর থেকে তিনি একটু স্লোয়ার ডেলিভারি দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার তৃণমূলের ভগবানপুর বিধানসভার বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন হয় বাজকুল মিলনী কলেজে। হাজির ছিলেন ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি। সম্মেলনে আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপরেশ সাঁতরা বলেন, ‘আমরা বিভ্রান্ত। জেলায় দলের মেরুদণ্ড শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট নয়। এই সম্পর্কে বিধায়ক কিছু বার্তা দিন।’ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই সব জেলায় ঘর গোছানোর কাজ চলছে। সেখানে এমন মন্তব্য জল্পনার জন্ম দেয় বইকি।
দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মসূচি ও সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলছেন। সব মিলিয়ে দলের অভ্যন্তরেও যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট অপরেশের প্রশ্নে। অপরেশ দুটি অঞ্চলের পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা এবং একাধিকবার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষও হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রশ্নের জবাবে বিধায়ক অর্ধেন্দুর বার্তা, ‘দল ক্ষমতায় থাকলে আপনার কাছে লোকেরা আসবে। আর দল ক্ষমতায় না থাকলে কেউ আসবে না।’
কর্মী সম্মেলনের ব্যাপারে সোমবার অপরেশ বলেন, ‘বিধায়কের কাছে শুভেন্দুবাবুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে বিভ্রান্তি চলছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেই বক্তব্যের ধারেকাছে না গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা আমি মেনে নিতে পারিনি।’