২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শিল্পের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বড় কোনও ঘোষণা না থাকায় চা শিল্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার সংসদে বাজেট পেশ করেন, যেখানে চা শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে হতাশা এবং আশার আলো দুইই প্রতিফলিত হয়েছে।
চা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ গত কয়েকটি বাজেটে ঘোষণা করা হলেও এবার সেটির নাম বদলে পুনরায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। তবুও, গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা চা গবেষণা কেন্দ্রগুলির জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে।
চা গবেষণা সংস্থার (টিআরএ) চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরী বলেন, ‘গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এতে চা গবেষণা কেন্দ্রগুলিও বরাদ্দ পাবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন। দিশাহীন, জনবিরোধী’, নির্মলা সীতারমণের বাজেটকে ‘শুধু অন্ধকার’ বললেন মমতা
তবে, ছোট চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সিস্টা’-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘এক কথায় আমরা হতাশ।’ তাদের মতে, চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য আরও নির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বাগান পরিচালকদের সংগঠন ‘টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র মহাসচিব প্রবীরকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘দক্ষতা বৃদ্ধি, পর্যটন, ডিজিটাল পরিষেবা, ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে বাজেটে ঘোষণার সুফল চা শিল্প পাবে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের কথাও বলা আছে বাজেটে।’
চা শ্রমিক নেতা এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘চা বলয়ের উন্নয়নে এক টাকাও বরাদ্দ হল না। আসলে কেন্দ্র চা শ্রমিকদের কথা ভাবে না।’
বিশেষত, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক বিভিন্ন কীটনাশক নিষিদ্ধ তালিকায় ফেলে দিয়েছে এবং তৈরি চা পাতার নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, আবহাওয়ার খামখেয়ালে উৎপাদনও কম হয়েছে, যা চা শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এবারের বাজেটে চা শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে যেমন হতাশা রয়েছে, তেমনই গবেষণা খাতে বরাদ্দের আশাও রয়েছে। তবে, চা শিল্পের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও নির্দিষ্ট এবং কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন।