রবিবার বীরভূম সফরে এসে একেবারে ‘হৃদমাঝারে’ স্থান পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর ইচ্ছে ছিল, শান্তিনিকেতনে এসে কোনও এক বাউল পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। তেমনই বোলপুরের বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের ভিটেতে তাঁর জন্য সমস্ত আয়োজন করা হয়। আর এদিন দুপুরে রতনপল্লীর ওই বাড়িতে এসে খাওয়াদাওয়ার আগে উপরি পাওড়া হিসেবে তিনি পেলেন বাউল সঙ্গীত। একতারা বাজিয়ে বাসুদেববাবু দরাজ গলায় গান ধরলেন— তোমায় হৃদমাঝারে রাখব, ছেড়ে দেব না।
এদিন চেয়ারে বসে বাউল গানের ছন্দে ছন্দ মেলাতে দেখা গেল অমিত শাহকে। তাল দিলেন তাল মিলিয়ে। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অনুপম হাজরা, রাহুল সিনহারা। অনুপম হাজরা আবার শুধু তাল নয়, গলাও মেলালেন বাউল শিল্পীর সঙ্গে। এর পরই তাঁরা দাওয়ায় এসে বসেন। অমিত শাহয়ের পছন্দের পদে পাত সাজিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এর আগে এদিন রতনপল্লীতে পৌঁছে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়ির শিবমন্দিরে পুজো দেন অমিত শাহ। বাড়িতে ঢোকার সময় একদিকে যেমন তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করছিলেন বাড়ির মেয়েরা, তেমন আর একদিকে একতারা সুর তোলেন বাসুদেব দাস।
গানবাজনা শেষে বাড়ির চওড়া বারান্দায় আসনে বসে খাওয়াদাওয়া শুরু করেন অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা। বীরভূমের স্পেশ্যাল আলুপোস্তর স্বাদ পাওয়ার শখ ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তেমনভাবেই আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ছিল নানারকম ভাজাভাজি, তরকারি। এদিন কলাপাতার পাতে একে একে পড়ে এ সব পদ— ভাত, রুটি, মুগের ডাল, আলু ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা, আলুপোস্ত, পালং শাক, টক দই, নলেন গুড়ের রসগোল্লা। আর শেষ পাতে ছিল বাসুদেব দাসের নিজের হাতে রান্না করা পায়েস। রীতিমতো এদিন আঙুল চেটে খেতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।