কয়েকদিন ধরেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিলেন জন বারলা। সম্প্রতি তিনি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ডুয়ার্স থেকে তিনি প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জন বারলা। তবে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক যেন থামার নাম নেই। এবার বারলার বিররুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস জমি জবরদখলের অভিযোগ তুলল। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি তোলায় আগেই তাঁকে বিচ্ছিনতাবাদী তকমা দিয়েছিলেন গৌতম দেবের মতো তৃণমূল নেতারা। এবার তৃণমূলের তরফে তাঁকে জমি মাফিয়ার তকমা দেওয়া হল।
ইতিমধ্যেই বারলার বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃনমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক সংশ্লিষ্ট জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে ভূমি দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বারলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের চামুর্চি এলাকায় সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন। সেখানে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। বানারহাট ব্লকের চামুর্চি মোড় থেকে পলাশবাড়ী চা-বাগান যাওয়ার পথে এই বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্সটি দেখা যায়।
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমারবাবু বলেন, 'একজন মানুষ সাংসদ হোক বা মন্ত্রী, তাঁকে আইন মেনে চলতে হবে। আমি বানারহাট ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে সেখানে একটি সরকারি জমি দখল করে বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। এই নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তাই আমরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিলাম। জেলাশাসক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এই বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।'
এদিকে এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তার দাবি, 'জন বারলা নিজে একজন চা-শ্রমিক ছিলেন। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্ত্রী করেছেন। তাই তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই বাড়ি তো একদিনে তৈরি হয়নি। এতদিন প্রশাসন তাহলে কী করছিল? তৃণমূল নেতারা প্রচুর সরকারি জমি বিক্রি করে নিজেদের পেট মোটা করেছেন। সেই ব্যাপারে প্রশাসন চুপ কেন?'