ময়নাগুড়িতে বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থলে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। রাতভর উদ্ধারকাজ জারি ছিল সেখানে। আহত সব যাত্রীদেরই উদ্ধার করে রাতের মধ্যে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে। তাছাড়া দুমড়েমুচড়ে থাকা বগিগুলোকেও এক এক করে ক্রেনের সাহায্যে সরানো হয় ভোর পর্যন্ত। ভোরে কুয়াশার মধ্যেও জারি থাকে উদ্ধারকাজ। ভোরেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বার্লা। আজকে সকালেই ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরও। বৃহস্পতিবার রাতই হাওড়া থেকে ময়নাগুড়িগামী বিশেষ ট্রেনে রওনা দেন তিনি। অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে থাকবেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে জন বার্লা বলেন, ‘কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত করা হবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আহতদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ রেলের তরফ থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করে পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই রেল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আসছেন৷ তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন৷ এদিকে এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় দুর্ঘটনায় রেলের গাফিলতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সন্দেহ করা হচ্ছে যে রেল লাইনে ফাটল থাকার দরুণ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। রেলমন্ত্রীর উচিত দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্পষ্ট বিবৃতি পেশ করা।’
এদিকে দোমোহনিতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হয়েছে। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগিগুলিকে লাইন থেকে সরানো কাজ৷ দুর্ঘটনার জেরে লাইনের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনই ওভার হেডের তারও ছিঁড়ে গিয়েছে৷ তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রেলকর্মীরা৷ রেলে তরফে ইঞ্জিনিয়ার এবং রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে রেলের ক্রেন দুর্ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগিগুলিকে সরানো হয় একে একে৷