ইতিমধ্যে ন'টি রুটে শুরু হয়েছে ভেসেল পরিষেবা। আগামী ৬ জুন থেকে আরও ২০ টি রুটে শুরু হবে লঞ্চ চলাচল।
পরিবহন দফতরের একাংশ জানিয়েছে, আগামী ৮ জুন থেকে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে সেরকম কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রে গণ পরিবহনই একমাত্র ভরসা অনেকের। বিশেষত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে অফিসে যেতেন। কিন্তু লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সেইসব অফিস যাত্রীদের ঘুরপথে আসতে হবে। সময়ও যাবে বেশি। শুধু সরকারি-বেসরকারি বাস চালিয়ে সেই সমস্যার সুরাহা হবে না। সে কথা মাথায় রেখে কলকাতা, হাওড়া, হুগলির মধ্যে ভেসেল পরিষেবা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান পরিবহন কর্তারা।
আপাতত মোট ২৯ টি রুটে লঞ্চ চলবে। পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, কতক্ষণ অন্তর পরিষেবা মিলবে, তা রুটের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট এবং সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অন্তর পরিষেবা মিলবে। পাশাপাশি, যাত্রী সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ৪০ শতাংশের পরিবর্তে দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে লঞ্চ বাড়ানোর পাশাপাশি সময়ের ব্যবধানও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।
আগামী সোমবার থেকে যে ২৯ টি রুটে লঞ্চ পরিষেবা শুরু হবে, তার তালিকা দেখে নিন -
১) হাওড়া-শিপিং, ২) হাওড়া-ফেয়ারলি, ৩) হাওড়া-আর্মেনিয়াম, ৪) চাঁদপাল-হাওড়া ভায়া ফেয়ারলি, ৫) হাওড়া-বাগবাজার ভায়া আহিরিটোলা এবং শোভাবাজার, ৬) কাশীপুর-হাওড়া, ৭) রামকৃষ্ণপুর-চাঁদপাল, ৮) ফেয়ারলি-কুটিঘাট ভায়া রতনবাবু, কাশীপুর এবং বাগবাজার ৯) হাওড়া-কুটিঘাট, ১০) ফেয়ারলি-আড়িয়াদহ, ১১) কুটিঘাট-বেলুড়, ১২) বেলুড়-বাগবাজার, ১৩) বেলুড়-হাওড়া ভায়া কাশীপুর, ১৪) বেলুড়-কাশীপুর, ১৫) বেলুড়-শিপিং ভায়া কাশীপুর এবং রতনবাবুর ঘাট, ১৬) বেলুড়-মেটিয়াবুরুজ, ১৭) নাজিরগঞ্জ-মেটিয়াবুরুজ, ১৮) নুরপুর-গাদিয়াড়া, ১৯) শ্রীরামপুর-ধোবিঘাট (ব্যারাকপুর), ২০) ফেয়ারলি-মেটিয়াবুরুজ, ২১) উলুবেড়িয়া-আছিপুর, ২২) উত্তরপাড়া-আড়িয়াদহ, ২৩) উত্তরপাড়া-কুটিঘাট, ২৪) উত্তরপাড়া-বাগবাজার, ২৫) উত্তরপাড়া-ফেয়ারলি, ২৬) বেলুড়-আড়িয়াদহ, ২৭) তেলেনিপাড়া-শ্যামনগর, ২৮) কোন্নগর-পানিহাটি এবং ২৯) মণিরামপুর-শেওড়াফুলি।