আনলক-১ শুরু হলেও এখনও লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়নি। বন্ধ মেট্রোও। চাহিদার তুলনায় বাসও কম। ফলে অফিস পৌঁছাতে হামেশাই দেরি হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারি কর্মীদের উপস্থিতির ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ম শিথিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গণ পরিবহনের অভাবে কর্মীরা অফিসে আসতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। অনেকের অফিসে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। তা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। তাই আগামী এক মাস সরকারি কর্মচারীদের অফিসে আসতে দেরি হলেও লাল কালি পড়বে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
কর্মীদের দেরি হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতর দেখে নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছানোর জন্য কর্মীদের বাড়তি ঝুঁকি না নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করবেন না। অফিসে আসতে আধ-এক ঘণ্টা দেরি হতে পারে। সেজন্য আগামী এক মাস অ্যাবসেন্ট করা হবে না।’
উল্লেখ্য, আনলক ১-এর পর বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। অনেক অফিসেই কর্মীদের যাচ্ছেন। কিন্তু রেল, মেট্রো, বেসরকারি বাস বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র সরকারি বাস চালিয়ে যাত্রীদের চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। রাস্তায় বেশি সরকারি বাস নামিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তায় বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। ভাড়া অপরিবর্তিতই থাকছে।
তবে বেসরকারি বাস চললেও সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না বলে দাবি যাত্রীদের। কারণ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীদের একটা বড় অংশ শহরতলির ট্রেনের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় অফিস আসতে প্রবল সমস্যার মুখে পড়ছেন। এরইমধ্যে আগামী ৮ জুন থেকে সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৭০ শতাংশ কর্মী যেতে পারবেন বলে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তখন অফিস যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে ফলে অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। তাই সবদিক খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিতির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করেছেন বলে বক্তব্য সরকারি কর্তাদের।