স্কুলে গিয়েছিলেন অন্যান্য দিনের মতো। আর সেই স্কুল থেকেই উদ্ধার হল তাঁর নিথর দেহ। স্কুলের ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। মৃত শিক্ষকের নাম সৌরভ রায়। ৩২ বছর বয়সি ওই শিক্ষক শিলিগুড়ির বাদুরবাগান এলাকায় থাকতেন। ফারাবাড়ি স্পেশাল ক্যাডার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করতেন। আর সেই স্কুলের ঘর থেকেই উদ্ধার করা হল শিক্ষকের দেহ।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের শিক্ষককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষক স্কুলের মিড ডে মিলের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেক্ষেত্রে তার জেরেই কি এই কাণ্ড!
ওই শিক্ষকের পরিবারে স্ত্রী, এক বছরের মেয়ে ও বাবা মা রয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি যথা সময়ে স্কুলে গিয়েছিলেন। দুপুরবেলাতেই তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল।কিন্তু তিনি বাড়ি ফেরেননি। এদিকে বেলাতেও তিনি বাড়ি না ফেরার জেরে পরিবারের লোকজন ফোন করেন। কিন্তু ফোন কেউ তোলেননি। এরপর স্কুলে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু স্কুল বন্ধ ছিল। এরপর তালা খুলিয়ে স্কুলে খোঁজাখুজি করা হয়। সেখানেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।
এদিকে পুলিশ শিক্ষকের ফোনের লোকেশন দেখার চেষ্টা করে। তখন দেখা যায় শিক্ষকের ফোন কখনও নকশালবাড়ি, কখনও পানিট্যাঙ্কিতে রয়েছে। তবে পরে আর তার লোকেশন বোঝা যায়নি। এরপর রাতে এল ফোন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিবারকে জানান স্কুলের একটি ঘরে সৌরভ থাকতে পারে। এরপর পরিবারের লোকজন সেখানে আসেন। এরপর স্কুল উপরের ঘর থেকে স্কুলের স্যারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ঘটনার পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ নানাভাবে হেনস্থা করত সৌরভকে। বয়স কম বলে তাকে দিয়ে চা বানানো হত। এর জেরে তিনি মাঝেমধ্য়েই স্কুলে আসতে চাইতেন না। কিন্তু সেদিন ঠিক কী হল যার জন্য এত বড় কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনও কারণ?
এদিকে শিক্ষকের পকেটেই ছিল মোবাইল ফোনটি। নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। এমনকী পোশাক একেবারে পরিপাটি। কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে কী হল সেটা কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এমনকী এই মৃত্যুর পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়েও এলাকায় চর্চা হচ্ছে। তবে প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছেন।