লকডাউনের জেরে নষ্ট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে মজুত থাকা প্রচুর পরিমাণে ওষুপধপত্র। আসলে লকডাউনে কোনও রোগী আসছেন না বলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রককে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে জেলা হাসপাতালগুলি। বলা হয়েছে, ওষুধের ব্যবহারিক মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা ফেলে দিতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে সরকারের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল জেলা হাসপাতালের তরফে লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, জমে থাকা ওষুধপত্রের তালিকায় রয়েছে হৃদরোগ, ম্যালেরিয়া, প্রসবকালীন ব্যথা ও পেপটিক আলসারে আক্রান্তদের ওষুধ। এ ছাড়া রয়েছে ইঞ্জেকশনের ভায়াল, অ্যানেস্থেশিয়ার ওযুধ ও চোখের ড্রপ। আগামী জুন মাসে শেষ হতে চলেছে ওই সমস্ত ওষুধের মেয়াদ।
গত ২৭ এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুরের গহ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার স্বাস্থ্য মন্ত্রককে লেখা চিঠিতে সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে রাজ্য সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে।
একই ভাবে চিঠি এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল থেকেও।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। দয়া করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
তবে প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
অন্য দিকে, পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভসের অভাবে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে এর আগেই অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্র থেকে ওই সমস্ত সরঞ্জাম জোগাড় করার চেষ্টা চলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এর আগে মোট ১৬.৫ লাখ পিপিই চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য, যার মধ্যে গত ১২ মে পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৭.৪ লাখ। বাকি ৯ লাখ পিপিই এখনও কেন্দ্রের কাছে পাওয়া রয়েছে রাজ্যের। সেই সঙ্গে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল ৩২.৫ লাখ মাস্ক, যার মধ্যে এ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৩.৬ লাখ।