আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভোট পড়ে যাওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট তৈরি হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। সেজন্য নয়া বছরের মার্চের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি তুলেছেন প্রার্থীদের একাংশ।
গত শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ হিসেব ঘোষণা করে তা বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, নয়া বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে হবে। ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেই কাজ করতে হবে। তারপর আগামী বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ডিভিশন বেঞ্চে যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয়েছে প্রার্থীদের একাংশের মনে।
একাধিক প্রার্থী সংগঠনের বক্তব্য, আগামী মার্চের মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে তথ্য যাচাই, ইন্টারভিউ, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ ধাক্কা খাবে না তো? সেজন্য ভোটপর্ব শুরুর আগে মার্চের মধ্যে পুরোপুরি নিয়োগ প্রক্রিয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। দ্রুত নিয়োগ সম্পন্নের দাবিতে আবারও আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটা হবে বলে জানিয়েছে একাধিক প্রার্থী সংগঠন।
তবে তাতেও পুরোপুরি জট কাটবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিশেষত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য ধোঁয়াশা বেড়েছে। প্রার্থীদের বক্তব্য, আপাতত উচ্চ প্রাথমিক শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯। নির্ধারিত ১:৪ অনুপাতের কারণে ২০,০০০-এর বেশি প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে কমিশনের অফিসে একসঙ্গে এতজন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া আদৌও সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিকল্প হিসেবে অনলাইনে ইন্টারভিউয়ের নেওয়া হলেও তা কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে প্রার্থীদের মনে প্রশ্ন আছে। কারণ অনেক প্রার্থীদের বাড়ির কাছেই ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল।