Upper primary teachers' recruitment: উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ: হাইকোর্টের রায়কে কি চ্যালেঞ্জ? উত্তর মিলতে পারে আজ

মার্চের মধ্যে নিয়োগের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামতে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে? তা নিয়ে সোমবার আলোচনায় বসতে চলছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে? তা নিয়ে সোমবার আলোচনায় বসতে চলছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে নাকি তা মেনে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার তোড়জোড় করা হবে, তা সোমবারের বৈঠকেই নির্ধারিত হতে পারে।

সূত্রের খবর, আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে রাজ্য। হাতে অবশ্য বেশি সময় পড়ে নেই। সেক্ষেত্রে কীভাবে ওই অল্প সময়ের মধ্যে নিয়োগ করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে হাজির থাকবেন কমিশনের কর্তারা। একইসঙ্গে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবারও আইনি পথে হাঁটা হবে কিনা, তা নিয়েও আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে কমিশন। তবে ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, রাজ্য যদি ডিভিশন বেঞ্চে যায়, তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও জট তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া আদৌও মিটবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। 

গত শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ হিসেব ঘোষণা করে তা বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, নয়া বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে হবে। ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেই কাজ করতে হবে। তারপর আগামী বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

যদিও একাধিক প্রার্থী সংগঠনের বক্তব্য, আগামী মার্চের মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে তথ্য যাচাই, ইন্টারভিউ, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ ধাক্কা খাবে না তো? তাই আগামী মার্চ তথা বিধানসভা ভোটের আগে উচ্চ প্রাথমিকের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি তুলেছে একাধিক প্রার্থী সংগঠন। তা নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামতে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।