উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত পর্যালোচনা চলছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে মঙ্গলবার সকালেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে। এদিকে ইয়াস, পূর্ণিমা, সুপারমুন, ব্লাড মুন, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এবং ভরা কোটাল। সবটাই ঘটবে একইদিনে। তাই আতঙ্কও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে এবং মানুষের জীবনকে নিরাপদে রাখতেই এই বৈঠক বলে খবর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, রামনগরের বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এবং রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। আর বিভিন্ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। ইয়াস ঠেকাতে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হলেও কোথাও খামতি থেকে গিয়েছে কি না তা এই বৈঠকে উঠে আসবে।
‘ইয়াস’ নিয়ে জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় মোকাবিলার সব প্রস্তুতি শেষ। সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে গ্রামবাসীদের সরানোর কাজও শেষের দিকে। মঙ্গলবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।’ বুধবার তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে আছড়ে পড়বে ওড়িশার বালাসোর উপকূলে। রাজ্যে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। উপকূল অতিক্রম করার সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫–১৬৫ কিমি হতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়ে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত প্রায় ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রের বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। খেজুরির পাথুরিয়াতে ৩০০ মিটারের মতো এলাকায় বাঁধ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে পরিদর্শন করেছি। আবহাওয়ার জন্য মেরামতির কাজে জোর দেওয়া যায়নি। এই এলাকায় ঘরবাড়ি কিছু নেই। তবুও নজর রাখা হয়েছে।’