সম্প্রতি সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিলি করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ই-মেলে পৌঁছেছে নিয়োগপত্র। তবে সেই সব নিয়োগপত্র নাকি ভুয়ো। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর থেকে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মু্খ্যামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা যে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তা আদতে ভুয়ো। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য নামক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমি নিয়োগপত্র পেয়ে ওই কোম্পানিতে ফোন করেছিলাম। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে তারা আমার থেকে নথি চায়। আমি তা পাঠিয়ে দিয়েছিল। তবে তারপর আর কোনও জবাব পাইনি আমি। এর একদিন পর হুগলির ইনস্টিটিউট থেকে ফোন করে বলা হয়, যে ফটোকপি করা কাগজ দেওয়া হয়েছে সেটা আদতে নিয়োগপত্র নয়। আমরা যতক্ষণ না কল করি, বা কোম্পানি কল করে, তোমরা যাবে না। এখন বুঝতে পারছি, পুরো বিষয়টাই ভুয়ো।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর অনেকের হাতেই চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। গুজরাটের এক সংস্থার নামে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল অনেককে। এই আবহে হুগলি জেলার অনেক আবেদনকারী ফোন করে জানতে পারেন যে তারা যে চিঠি পেয়েছে তা ভুয়ো। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গুজরাটের যে সংস্থার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেই সংস্থার সংস্থার সেন্টার ম্যানেজার বেদপ্রকাশ সিং জানিয়েছেন, তাঁরা গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে এই ধরনের প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তরফে তাঁদের সঙ্গে এই নিয়ে কোনও যোগাযোগই করা হয়নি। এই বিষয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হতেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা চাই বিভাগীয় তদন্ত হোক। যাঁদের গাফিলতিতে এই ঘটনা, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।’